Logo
মিলাদ শরীফের প্রচলনের উৎপত্তি
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৪ মে, ২০২১

মীলাদ শরীফ এর উৎপত্তি কখন? সাহাবায়ে কিরাম কি মীলাদ পড়েছেন? ইমাম আবূ হানীফা (র.) কিংবা অন্যান্য মাযহাবের ইমামগণ কি মীলাদ পড়তেন বা মীলাদ শরীফ সম্পর্কে কোনো অভিমত করেছেন? কেউ কেউ বলেন মীলাদ শরীফের উৎপত্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তিকালের ৫০০ বছর পরে হয়েছে- কথাটি কি সঠিক? এ বিষয়ে জানালে কৃতজ্ঞ হব।

প্রশ্নকারী:  বদরুল ইসলাম
ডাইকের বাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট

জবাব: ‘মীলাদ শরীফ’ নামক প্রচলিত আমলের মধ্যে বহুবিধ নেক কাজ সংযুক্ত রয়েছে। যথা: কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত, দুরূদ শরীফ পাঠ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে রচিত কাসীদাহ-কবিতা পাঠ, তাঁর জন্মকালীন অলৌকিক ঘটনাবলির আলোচনা এবং দাঁড়িয়ে সালাত ও সালাম পেশ করা ইত্যাদি। আলাদাভাবে উপরোক্ত বিষয়ের প্রতিটির আমল রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং সাহাবায়ে কিরাম ও তৎপরবর্তী যুগে প্রচলিত ছিল। কিন্তু এগুলোর সমষ্টিগত রূপায়ণ ঘটেছে ‘মাহফিলে মাওলিদ’ নামে নামকরণের মাধ্যমে পরবর্তীতে ৬০৪ হিজরীতে। এর পর থেকে যুগশ্রেষ্ঠ মনীষীগণের অধিকাংশ বরেণ্য ব্যক্তিগণ এর প্রচলিত রূপরেখার বিশদ বিশ্লেষণপূর্বক একে জায়িয ও মুস্তাহসান বলে অভিমত পোষণ করেছেন।

তাই সাহাবায়ে কিরামের যুগে প্রচলিত রূপরেখার মীলাদ মাহফিল ছিল না। তবে এর মধ্যে সম্পাদিত কাজগুলোর সবগুলো আলাদাভাবে ছিল। অনুরূপ পরবর্তী তাবিঈন, তাবে-তাবিঈন ও মাযহাবের ইমামগণের যুগে এবং তৎপরবর্তী যুগেও আলাদাভাবে প্রত্যেকটির আমল প্রচলিত ছিল, যেহেতু বিষয়গুলোর সবকটি শরীআতে স্বীকৃত নেক কাজ। আর মাযহাবের ইমামদের থেকে প্রচলিত মীলাদ মাহফিল সম্পর্কে কোনো অভিমত এজন্য নেই যেহেতু তাদের যুগে এর প্রচলন হয়নি।

উল্লেখ্য যে, বর্তমান যুগের ওয়ায মাহফিলে কিরাত, গজল, ধর্মীয় আলোচনা, চাঁদা কালেকশন, কোথাও পাগড়ি প্রদান বা পুরস্কার বিতরণ এবং দুআ মুনাজাত, শিরনী বিতরণ ইত্যাদি হয়ে থাকে। আলাদাভাবে এগুলোর প্রত্যেকটি শরীআতের দৃষ্টিতে জায়িয থাকার কারণে প্রচলিত ওয়ায মাহফিলে এগুলো একত্রে সম্পাদিত হওয়ার কারণে ওয়ায মাহফিল জায়িয হবে কি না- এ বিষয়ে কেউ আপত্তি করেন না কিংবা প্রশ্ন উত্থাপন করেন না। তদ্রুপ বৈধ বিষয়াবলি সম্বলিত মীলাদ মাহফিলের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করাও অসমীচীন ও অনুচিত। (হুসনুল মাকসাদ ফী আমালিল মাওলিদ, আল হাবী লিল ফাতাওয়া: ১ম খণ্ড/পৃষ্ঠা ২২২, ইকতিদাউস সিরাতিল মুস্তাকীম, ফায়সালায়ে হাফত মাসআলা, আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ, মা ছাবাতা বিস সুন্নাহ)

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার
মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...