Logo
পুরুষের জন্য নারী উপস্থাপিকার সংবাদপাঠ শোনা হারাম
জবাব দিচ্ছেন: মাওলানা আবূ নছর মোহাম্মদ কুতুবুজ্জামান তাফাদার
  • ৩ মে, ২০২১

টেলিভিশনে বেপর্দা নারী উপস্থাপিকার সংবাদ প্রচার শুনা যাবে কি?

প্রশ্নকারী: আব্দুল হাই মাসুম

মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসা

জবাব:  পুরুষের জন্য টেলিভিশনে বেপর্দা নারী উপস্থাপিকার সংবাদ শুনা জায়িয নয়। কেননা তার চেহারা দেখার মধ্যে যেমন পর্দার সরাসরি লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তদ্রুপ আওয়াজ শুনার মধ্যে ফেৎনার নিপতিত হওয়ার সম্ভাবনা বিদ্যমান। বেগানা নারীর দিকে তাকানোকে কিংবা চোখের কুদৃষ্টিকে হাদীস শরীফে চোখের যিনা বলা হয়েছে। হাদীস শরীফে এ মর্মে এসেছে-

عن أبي هريرة، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: كل بني آدم أصاب من الزنا لا محالة، فالعين زناها النظر، واليد زناها اللمس، والنفس تهوى، وتحدث، ويصدق ذلك ويكذبه الفرج

(মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৮৫৯৮, মুসনাদে বায্যার, হাদীস নং ৮৯৪৩)

 

জবাবদাতা: প্রিন্সিপাল ও খতীব, আল ইসলাহ ইসলামিক সেন্টার 

মিশিগান, যুক্তরাষ্ট্র

প্রশ্ন: শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সময় ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা ও গবেষণায় অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে থিসিস ও অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে সমস্যায় পড়েন। বিশেষ করে বিদেশে অধ্যয়নরত অনেক শিক্ষার্থী, যেমন—বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরা, পড়াশোনার পাশাপাশি আয়-রোজগারে ব্যস্ত থাকার কারণে নিজেরা এই কাজগুলো যথাযথভাবে করতে পারেন না। ফলে তারা নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে কিছু এজেন্সি বা ব্যক্তির সহায়তা নেন, যারা তাদের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লিখে দেয়। এক্ষেত্রে ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে জানতে চাই: ১. এভাবে অ্যাসাইনমেন্ট বা থিসিস করিয়ে নেওয়া একজন শিক্ষার্থীর জন্য কতটুকু ন্যায়সঙ্গত? ২. টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে থিসিস বা অ্যাসাইনমেন্ট লেখা কি ইসলামে বৈধ? ৩. এটি কি হারাম উপার্জনের অন্তর্ভুক্ত হবে?
ফেইসবুকে আমরা...